1
2
| প্রকাশের তারিখঃ ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ইং
ফটিকছড়ির ভয়ংকর এক প্রতারক "ডন হুমায়ুন"
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদন
চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার নাজিরহাট বাজার ৮নং ওয়ার্ড কাশেম গোমস্তার বাড়ির মো: হারুনুর রশিদের ছেলে মো:হুমায়ুন রশিদ ওরফে(ডন হুমায়ুন)দীর্ঘ ১০বছর ধরে ফটিকছড়ির বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গের নামে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে তার নিজস্ব ফেসবুক পেজ থেকে অশ্লীল অসভ্য ভাষা ব্যবহার করে,গাল মন্দ,জীবন নাশের হুমকি দেওয়া সহ এলাকার বহু সহজ সরল মানুষ কে প্রতারিত করে নীরবে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।যা ফটিকছড়ির বহু মানুষ জানেন না বল্লেই চলে।যদিও সে তার ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন সামাজিক বিষয় ও দূর্নীতি নিয়ে কথা বলে তার বিপরীতে হুমায়ুনের ভিন্ন একটা চরিত্রও রয়েছে যা ফটিকছড়িবাসীর সম্পূর্ণভাবে অজানা।বর্তমানে প্রবাসে অবস্থানরত নীরব এই চাঁদাবাজের দীর্ঘদিনের গোপন কিছু টেকনিক তুলে ধরা হলো:প্রথমত এলোকটির টেকনিক হলো এলাকার সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করে তা এডিট করে AI ব্যাবহার করে কণ্ঠ নকল তার ফেসবুক পেজে ছেড়ে দেওয়া।তারপর শুরু তার আসল কাজ। ঐ ব্যাক্তিকে যাকে সে টার্গেট করছে তার ব্যাক্তিগত তথ্য দিতে পারবে এমন ব্যাক্তি খোঁজা বা তার প্রতি যার বিদ্বেষ আছে তাকে দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা এবং সে তথ্য বিকৃত করে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা যাতে টার্গেটকৃত ব্যাক্তিকে দ্রুত দুর্বল করা যায়।এর পরে শুরু তার দ্বিতীয় পর্ব তা হলো টার্গেটকৃত ব্যাক্তিকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দুমকি দেওয়া ও তার কোনো পূর্ব শত্রুকে দিয়ে তাকে হয়রানি করা।গোপন সূত্রে জানা গেছে এই প্রতারক বড়ো অংকের চাঁদা পেলে টার্গেটকৃত ব্যক্তি থেকে সরে এসে নতুন ভাবে অন্য কাউকে টার্গেট করে।এসব ঘটনায় বহু বার সে ধরা পড়ে এবং কান ধরে উঠানামা করে ক্ষমা ছেয়ে কোনো মতে জীবন বাঁচিয়েছে।কয়েক মাস আগে দেশে অবস্থান কালে গণপিটুনিরও শিকার হয়েছে।চিহ্নিত এই বাটপার গত কিছু দিন আগে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।এখন আবার নতুন করে পুরাতন ধান্দায় ফিরে আসছে।তার এই ধান্দার সিস্টেম হলো প্রথমে কোনো এক দূর্নীতির বিষয়কে সামনে এনে ব্যাপক সমালোচনা করার মধ্যেমে মানুষ কে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করবে।তারপর সত্য মিথ্যা যাচাই না করে যার বিরুদ্ধে পোস্ট করবে বা ভিডিও ছাড়বে তার কোনো বক্তব্য বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে লাগাতার অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে দিবে।যারফলে সমাজের সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ তার সম্মান রক্ষার্থে অবশেষে বাধ্য হয়ে তার অশ্রাব্য গালিগালাজ ও অপপ্রচার থেকে বাঁচার লক্ষে তার মা বা বাবাকে কিছু টাকা পয়সা পৌঁছিয়ে দিলে সে ম্যানেজ হয়ে যাবে।সে রকম একটা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত গত কয়েকদিন আগে দৈনিক দেশবার্তা নিউজের ব্যুরো প্রধান মো:আজগর আলী।যে ডকুমেন্ট নিউজের সাথে পাঠকদের জন্য সংযুক্ত করা হলো।চাঁদাবাজ মো: হুমায়ুন ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে অসংখ্য আজেবাজে পোস্ট করেছে যা তার ফেসবুক পেজ থেকে প্রচারিত হয়েছে।যখনি একজন সম্মানিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ধান্দাবাজ হুমায়ুনের বাসায় গিয়ে তার মা-বাবার সাথে দেখা করে আসছে মূহুর্তে সে সুর পাল্টিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গুণকীর্তন শুরু করে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিচ্ছে যা পাঠকদের জন্য সংযুক্ত করা হলো।তার অসংখ্য কুকর্মের ডকুমেন্টস এখন দৈনিক দেশবার্তা নিউজে হাতে জামা রয়েছে।ভয়ংকর এই প্রতারক নিজেকে অভিজ্ঞ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ও ভূল তথ্য দিয়ে দৈনিক দেশবার্তা নিউজে অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিৃসেবে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করে। দৈনিক দেশবার্তা নিউজ শিক্ষা নবিশ হিসেবে তাকে তিন মাস কাজ করার অনুরোধ করলে সে কোনো কাজ না করে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ব্যাক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও প্রচার করলে দৈনিক দেশবার্তা নিউজ তাকে সর্তক করে এবং পরবর্তীতে তার কার্ড বাতিল সহ স্থানীভাবে বহিষ্কার করে।খবরের সাথে বহিষ্কার পত্র সংযুক্ত করা হলো। সে এসবে ভ্রুক্ষেপ না করে রাতদিন লাগাতার ফটিকছড়ির বিভিন্ন মানুষের সামাজিক অনুষ্ঠানাদির ছবি ও ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করে AI দিয়ে এডিটিং করে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে মানুষ কে হয়রানি করে পারসোনাল নাম্বারে গোপনে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।যার ভুক্তভোগী স্বয়ং দৈনিক দেশবার্তার ব্যুরো প্রধান মো:আজগর আলী।
গত কয়েক মাস আগে ফ্যাসিবাদের দোসর ও তাদের অনুগতরা চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে সাংবাদিক,লেখক মো:আজগর আলীকে জোরপূর্বকভাবে ধরে নিয়ে ফটিকছড়ি বিবিরহাট বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় (আইডিয়া এ্যাড এন্ড ফার্ম) মো:আক্তারুজ্জামান নুরের মালিকানাধীন দোকানে বেঁধে রাখে এবং মালিক মো: আকতারুজ্জামান নুর তার মুঠো ফোনে সাংবাদিক মো:আজগর আলীর ছবি ধারন করে।গত কয়েক দুই দিন আগে এই হুমায়ুন সেই ছবিকে মোবাইল চুরির অপরাধে সাংবাদিক মো:আজগর আলী কট বলে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে যা রীতিমত হাস্যকর ও তামাশার বস্তুতে পরিণত হয়।ভূক্তভোগী আরও একজন বলেন হুমায়ুন একজন,গাঁজা খোর, লম্পট,ধান্দাবাজ,চাঁদাবাজ,বাটপার ছাড়া আর কিছু নয়,শুধু মাত্র তার অশ্লীল, গালি-গালাজের ভয়ে মুখ বন্ধ রাখি।যাতে আমাদেরকে ছোট ভাই বোন,ছেলে মেয়ে স্ত্রী পুত্র মা বাবা এসব গালিগালাজ থেকে রক্ষা পায়।সে নিজেকে কখনো ফটিকছড়ির পিনাকি আবার কখনো অসাংগঠনিক শিবিরের সমর্থক দাবি করে।স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন অসাংগঠনিক শিবির বলতে কিছু নেই।হুমায়ুন একজন উশৃংখল লোক, এধরণের লোক জামায়াতে ইসলামি বা তার কোনো সহযোগী সংগঠনের জনশক্তি তো দূরে থাক এমন লোককে জামায়াতে ইসলামি ও তার সহযোগী সংগঠন গুলো দারোয়ান হিসেবে ও নিয়োগ দিবে না।দৈনিক দেশবার্তা নিউজ থেকে তার ফেসবুক পেজে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের ছবি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশনার ছবি কেনো জানতে চাইলে নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে বলেন এসব ধান্দাবাজেরা স্ব প্রণোদিত হয়ে ধান্দা বাজির উদ্দেশ্যে ৫ই আগষ্টের পরে থেকে জামায়াতে ইসলামীর অফিসে এসে নেতৃবৃন্দের সাথে ছবি তুলে যা নিয়ে স্বয়ং নেতৃবৃন্দ সম্পূর্ণভাবে অসন্তোষ্ট।তারা স্পষ্ট বলেন হুমায়ুন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রাথমিক সদস্য ফরম সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তার এসব উশৃংখল আচরণ আমাদের নজরে আসলে সাথে সাথে আমরা তার প্রাথমিক সদস্য ফরম প্রত্যাখ্যান করি।যার অনুলিপি বর্তমানে দৈনিক দেশবার্তা নিউজের হাতে রয়েছে।এছাড়া তার নিজ এলাকা ফটিকছড়ি উপজেলার বিএনপি, জামায়াতের ইসলামি,হেফাজতে ইসলামি নেতৃবৃন্দের সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন ডন হুমায়ূন একটা নোংরা অসভ্য বেয়াদপের নাম।তারা আরও বলেন আমরা তার এরকম অশ্রাব্য গালিগালাজ ও অশ্লীল কথাবার্তার ভয়ে কিছু বলিনা।দৈনিক দেশ বার্তা নিউজের প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে বলেন আপনারা সমাজের সচেতন নাগরিকবৃন্দ তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওন এবং আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রাশিদুল ইসলাম রুবেল
যোগাযোগ: মতিঝিল আহমেদ প্লাজা / লিফট - 9 তলা) ঢাকা 1000।
মোবাইল: +880 01640579956 +880 01706802373
ইমেইল: dailydeshbartanews2023@gmail.com
© দৈনিক দেশবার্তা নিউজ